কুমিল্লার বুড়িচংয়ে যুগান্তরের সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সুমনকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি হায়দার বাহিনী প্রধান সন্ত্রাসী আদনান হায়দাসহ ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে ওই হায়দার বাহিনী প্রধান আসামি আদনান হায়দার এবং তার দুই সহযোগী জজু ও মহিউদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কুমিল্লা নিয়ে আসে।

মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত মঙ্গলবার রাতে বুড়িচং এলাকার চাঁনসার গ্রাম থেকে কুমিল্লার বাসায় ফেরার পথে ময়নামতি তুঁতবাগানের সামনে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে সন্ত্রাসী আদনান হায়দারের নেতৃত্বে আরও ৯ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাংবাদিক ইকবালের দুই পা থেঁতলে দেয়। পরে তাকে তুঁতবাগনের পাহাড়ের ওপর তুলে নিয়ে সেখানে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হায়দার বাহিনী প্রধান সন্ত্রাসী আদনান হায়দার বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ বা র্যাবকে জানালে গুলি করে হত্যা করে ফেলবো। এরপর ইকবাল সুমনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় হায়দার বাহিনী।

কিছুক্ষণ পর সুমনের গোঙানির শব্দে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যান্টম্যান্ট নিয়ে আসে। পরে সাংবাদিক সুমন মোবাইলে বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদকে বিষয়টি জানান। তারপর কোতোয়ালি মডেল থানা ওসি ও এসআই নূরে আলম তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করতে নিয়ে যান। এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বুড়িচং থানায় আহত সাংবাদিক ইকবাল সুমন বাদী হয়ে হায়দার বাহিনী প্রধানসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা করার পর আসামিরা এলাকায় থেকে পারে পলিয়ে যান।  কুমিল্লার এসপি ফারুক আহমেদের নির্দেশে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান জেনে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। এই অভিযানে হায়দার বাহিনীর প্রধানসহ ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পুলিশের সদর সার্কেলের এএসপি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হায়দার বাহিনীর প্রধান আসামি আদনান হায়দার, জজু ও মহিউদ্দিন।